নতুন বিশ্ব ব্যবস্থায় নর্ডিক দেশগুলোর ভূমিকা কি?

Asad_USA
আকারে ছোট হলেও ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেন—এই পাঁচটি নর্ডিক দেশ বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

'নর্ডিক' শব্দের অর্থ 'উত্তর'।

উত্তর ইউরোপের যে পাঁচটি দেশ- ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেন- এদের একসাথে বলা হয় নর্ডিক দেশ।

আপাতদৃষ্টিতে পৃথিবীর ঝুট ঝামেলা এড়িয়ে চলে এরা নিজেদের মত করে থাকতে চায়। কিন্তু আজকের বিশ্ব ব্যবস্থায় তো আর সেটা কারোর পক্ষেই সম্ভব না! বড় দেশের অর্থনৈতিক বলয় বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় দেশগুলো চলছে অনেকটা ভারসাম্য বজায় রেখে।

তার আগে একটু বোঝার চেষ্টা করা যাক, অর্থনৈতিকভাবে নর্ডিক'রা কেন দুনিয়ার অন্যান্যে দেশের থেকে আলাদা। নর্ডিক অর্থনৈতিক মডেলকে সাধারণত পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্রের এক অনন্য মিশ্রণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই মডেল একটি শক্তিশালী বাজার অর্থনীতির সাথে কল্যাণ রাষ্ট্রের নীতির সমন্বয়।

এই অর্থনীতির কয়েকটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হল-

  • এই সব দেশে উঁচু হারে কর আদায় হয়
  • সেই করের টাকায় সর্বজনীন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়
  • নাগরিকরা মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং আর্থিক নিরাপত্তার সুবিধা পান
  • শক্তিশালী ইউনিয়ন ও কালেক্টিভ বারগেইনের মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করা হয়
  • সামাজিক সমতা ও আয় পুনর্বণ্টনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে সমাজে সমান সুযোগ তৈরির চেষ্টা করা হয়

মূলত, নর্ডিক মডেল অর্থনৈতিক দক্ষতার সাথে সামাজিক যুক্ত করে ন্যায়বিচার। তারা একটি এমন সমাজ গড়ে তুলতে চায়- যেখানে প্রত্যেকের এগিয়ে যাবার সুযোগ থাকে। এই ধরণের ওয়েলফেয়ার ষ্টেট বা 'কল্যাণমুখী রাষ্ট্র'র মডেলের দিকে দেশগুলো যাত্রা শুরু করে ১৯৩০ নাগাদ; বিশ্বজোড়া ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার পটভূমিতে। সেই উদ্যোগ গতিশীল হয় ১৯৪০ থেকে ৫০ এর মধ্যে।

কিন্তু পুঁজিবাদের এই অবিসংবদিত বিজয়ের কালেও দেশগুলো কেন ধরে রেখেছে সেই মডেল?

প্রধান কারণই হল- এই মডেল আসলেই দারুণ সফলতা নিয়ে এসেছে দেশগুলোতে; বিশেষ করে সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড এবং আইসল্যান্ড এর জন্য।

দেশগুলোর সংস্কৃতি এমনভাবে গড়ে উঠেছে, মানুষে মানুষে আস্থা এখনো এখানে প্রবল। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে কর দিতে পিছ পা হয় না, কেননা তারা দেখেছে, সেই টাকা জনগণের পিছনেই আবার খরচ হচ্ছে। নাগরিকরা বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা আর সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা পাচ্ছে বলে সমাজে থাকছে স্থিতিশীলতা।

তবে এখনো কি দেশগুলো সেই ১৯৩০ এর মত করেই চলছে? না, তা নয়। নর্ডিক সরকারগুলো তাদের কল্যাণব্যবস্থাকে ক্রমাগত আধুনিক করে তুলেছে। মুক্ত বাজার অর্থনীতির সাথে মানুষের কল্যাণের ভারসাম্য রক্ষা করেছে।

এই মডেল শুধু একটি রাষ্ট্রনীতির বিষয় নয়, বরং নর্ডিক সংস্কৃতির ঐতিহ্যের অংশ।



ভূ-রাজনীতিতে নর্ডিক দেশ

নর্ডিক দেশগুলো কিভাবে রাখছে ক্ষমতাধর শক্তিগুলোর মধ্যে সম্পর্কের ভারসাম্য?

নর্ডিক দেশগুলোর পররাষ্ট্রনীতি সময়ের সাথে সাথে নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে।

মানচিত্রে ফিনল্যান্ড ছিল দোর্দন্ড প্রতাপশালী সোভিয়েত ইউনিয়নের একেবারে গা ঘেঁষে দাঁড়ানো দেশ। এই ভৌগোলিক বাস্তবতা মেনে নিয়ে সে একটা নিরপেক্ষ নীতি নেয়। যাতে সোভিয়েতও না চটে, আমেরিকাও না চটে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতেই সোভিয়েত ইউনিয়ন হামলা করেছিল এই ফিনল্যান্ডে। দখল করে নিয়েছিল দেশটির ৯% ভূমি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থামার পরে দেশটি নেয় "ফিনল্যান্ডাইজেশন" নীতি। সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে যাতে উত্তেজনা না বাড়ে, আবার পশ্চিমের সাথেও সম্পর্ক বজায় থাকে- সেই ব্যাপারে সে সদা সতর্ক থাকত। ফিনল্যান্ডের এক পাশে সোভিইয়েট ইউনিয়ন, অন্যপাশে সুইডেন।

এই সুইডেনও নিরপেক্ষ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিল দীর্ঘদিন। সরাসরি কোনো সামরিক জোটে যোগ না দিলেও নিজেদের সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করে তোলার কাজ চালিয়ে গিয়েছিল। সুইডেনের এই 'সশস্ত্র নিরপেক্ষতা' নীতি ছিল সেই সময় বেশ তাৎপর্যপুর্ণ।

অন্যদিকে, নরওয়ে আর ডেনমার্ক পরিস্থিতি সামলাচ্ছিল একটু ভিন্নভাবে। পশ্চিমা বিশ্বের সাথে হাত মিলিয়ে তারা সরাসরি যোগ দেয় ন্যাটোতে। তাদের ভাবনায়, সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্ভাব্য আগ্রাসনের হুমকি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা সামরিক শক্তির ছায়ায় থাকা ছিল নিরাপদ সিদ্ধান্ত।

আইসল্যান্ডের নিজস্ব কোনো সেনাবাহিনী ছিল না। তবে দেশটি উত্তর আটলান্টিকের মাঝখানে পড়ায়, তাদের কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব ছিল অত্যন্ত বেশি। ন্যাটো'র জন্য আইসল্যান্ড ছিল সামরিক বিমানঘাঁটি ও সমুদ্রপথের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।

শীতল যুদ্ধের পরে দেশগুলো হয়ত ভেবেছিল, সোভিয়েত জুজুর যুগ শেষ হয়েছে। তাই তারা আরও ঘনিষ্ঠ হল পশ্চিমের সাথে।

ফিনল্যান্ড, সুইডেন এবং ডেনমার্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নে (EU) যোগ দিয়ে ইউরোপীয় বাজারের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হয়। নরওয়ে আর আইসল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য না হলেও ইউরোপীয় অর্থনৈতিক এলাকার (EEA) সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইউরোপীয় বাজারে জায়গা রাখার চেষ্টা করে।

কিন্তু রাশিয়া যে ক্রমে আবার একটা হুমকি হয়ে দাঁড়াবে, সেটা বুঝতে বেশ ক' দশক চলে গেছে দেশগুলোর। আর্কটিক ও বাল্টিক অঞ্চলে রাশিয়ার আগ্রাসী ভূমিকা দেখে নর্ডিক দেশগুলোতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। নিরপেক্ষতা ঝেড়ে ফেলে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন যোগ দিয়েছে ন্যাটোতে।

বাণিজ্যের দিক থেকে, নর্ডিক দেশগুলো হয়ে উঠেছে গ্লোবাল মুক্ত বাজার ব্যবস্থার দৃঢ় সমর্থক।



এই বিশ্ব পরিস্থিতিতে নর্ডিক দেশগুলো

তাদের ভূমিকা বেশ বৈচিত্র্যময়।

ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেন- বিশ্ব রাজনীতিতে এই পাঁচটি নর্ডিক দেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আকারে ছোট কিন্তু তাদের মূল শক্তি গণতন্ত্র, শক্তিশালী অর্থনীতি আর ভূ-রাজনীতিতে কৌশলগত অবস্থানে। আজকের বিশ্বে ক্ষমতার ভারসাম্য বদলাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার প্রতিযোগিতা দিনকে দিন নিত্যনতুন মাত্রা পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে ভূমিকা রাখছে নর্ডিক দেশগুলো? কিভাবে রাখছে ক্ষমতাধর শক্তিগুলোর মধ্যে সম্পর্কের ভারসাম্য? এখানে তাদের ভূমিকাও বেশ বৈচিত্র্যময়।

শান্তির প্রচার

নর্ডিক দেশগুলো শুধু সামরিক দিক থেকে নিজেকে শক্তিশালী করেনি, নিজেদের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি কাজে লাগিয়ে ভূমিকা রাখছে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজেও। নরওয়ে ১৯৯৩ সালে অসলো চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একইভাবে, ২০১৬ সালে নরওয়ে কলম্বিয়ার সরকার ও ফার্ক (FARC) বিদ্রোহীদের মধ্যে শান্তিচুক্তি অর্জনে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে।

২০১৮ সালে সুইডেন, ইয়েমেনের সরকার ও হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে শান্তি আলোচনা আয়োজন করে, যেটি "স্টকহোম চুক্তি" নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা ও বৈঠকের আয়োজনে নেপথ্যে থেকেও কাজ করে দেশটি। আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু শান্তি প্রচেষ্টায় আর্থিক সহায়তা ও কূটনৈতিক সমর্থন দেয়ার উদাহরণ রেখেছে ডেনমার্কও।

সামরিক প্রস্তুতি

বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে বলে গলে যাচ্ছে আর্কটিক অঞ্চলের বরফ। বরফ গলছে বলে তৈরি হয়েছে নতুন সমুদ্রপথ, খনিজ আর জ্বালানি সম্পদ পাওয়ার সুযোগ। অঞ্চলটিতে আছে বিশাল তেল, গ্যাস, ও খনিজ সম্পদের মজুদ। স্বাভাবিকভাবেই বড় শক্তিধর দেশগুলো মন দিয়েছে এই অঞ্চলের দিকে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীনসহ অনেকেই এখন আর্কটিকে ঘিরে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে, নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আরও বেশি করে ভাবতে হচ্ছে নর্ডিক দেশগুলোকে।

তারা গঠন করেছে NORDEFCO- Nordic Defence Cooperation। এর মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে গড়ে তুলেছে একটি সামরিক বন্ধন। এক সাথে করছে সামরিক অনুশীলন, ভাগাভাগি করে নিচ্ছে গোয়েন্দা তথ্য।

অর্থনীতি ও প্রযুক্তি

পুরো ইউরোপ, রাশিয়াকে শত্রু মনে করায় নরওয়ের তেল ও গ্যাস ইউরোপের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য আরও গুরুত্বপুর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশ্ব বাজারে তারা মূলত উচ্চমানের প্রযুক্তি, পরিসেবা, শিল্পজাত পণ্য, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ (যেমন তেল, গ্যাস, খনিজ ও বনজ দ্রব্য) রপ্তানি করে।

সুইডেনের ইলেকট্রনিক্স ও গাড়ি শিল্প (যেমন ভলভো ও এরিকসন), নরওয়ের জ্বালানি ও সামুদ্রিক পণ্য, ফিনল্যান্ডের প্রযুক্তি (নকিয়া) এবং আইসল্যান্ডের মৎস্যজাত পণ্যের চাহিদা আছে বিশ্বব্যাপী। টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা এবং উদ্ভাবনের উপর গুরুত্ব দিয়ে তারা বিশ্ব অর্থনীতিতে নিজেদের আলাদা অবস্থান তৈরি করেছে।

ডেনমার্ক বায়ু শক্তিতে, নরওয়ে বৈদ্যুতিক যানবাহনে, সুইডেন পরিবেশবান্ধব শিল্পে অগ্রগামী। তারা সবুজ প্রযুক্তির মাধ্যমে বৈশ্বিক বিনিয়োগ ও নীতিতে প্রভাব বিস্তার করছে।

ভূরাজনীতি সামলানো

চলমান বহুমেরুর লড়িয়ের এই বিশ্বে নর্ডিক দেশগুলোকে খুব সতর্ক হয়ে ভারসাম্য রক্ষা করতে হচ্ছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং মুক্তবাজার অর্থনীতির পক্ষে থাকার কারণে তাদের ঘনিষ্ঠতা আমেরিকার সাথে। কিন্তু একই সাথে আবার চীনের সঙ্গেও অর্থনৈতিক সম্পর্কও তাকে বজায় রাখতে হয়।

আবার বিশ্ব রাজনীতির মারপ্যাঁচে অনেক কঠিন সিদ্ধান্তও নিতে হচ্ছে তাদের। ৫জি প্রযুক্তিতে চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা এর একটি বড় উদাহরণ।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এশিয়ার কিছু অংশ (বিশেষ করে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া) এবং উদীয়মান বাজার যেমন ভারত ও আফ্রিকার কিছু দেশে তারা প্রযুক্তি, অবকাঠামো এবং টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে।



আগামীর চ্যালেঞ্জ

এই সময় বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হচ্ছে দেশগুলোকে।

আগামী দিনে, নর্ডিক দেশগুলো কৌশলগত পরিকল্পনা ও আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব বাড়াবে। তারা জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের পক্ষে কাজ চালিয়ে যাবে।

তবে, এই সময় বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হচ্ছে দেশগুলোকে। মোটাদাগে চ্যালেঞ্জগুলো এই রকম-

  • ১. জনসংখ্যার পরিবর্তন
  • বয়স্ক জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং জন্মহার কম হওয়ার কারণে কর্মক্ষম জনসংখ্যার উপর চাপ বাড়ছে। একইসাথে, বাড়ছে অভিবাসীর সংখ্যা। ফলে সামাজিক সংহতি এবং কল্যাণ ব্যবস্থা হুমকির মধ্যে পড়ছে।

  • ২. অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা ও বৈশ্বিক পরিবর্তন
  • বিশ্বায়নের যুগে তীব্র প্রতিযোগিতা এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে ঐতিহ্যবাহী শিল্পগুলোকে আধুনিকীকরণ করা এখনো বাজি আছে তাদের।

  • ৩. কল্যাণ রাষ্ট্রের ধারনা
  • নর্ডিক দেশগুলোর কল্যাণ ব্যবস্থা উঁচু হারে করের উপর নির্ভরশীল। বয়স্ক জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বেকারত্বের কারণে কর আদায় হয়ে উঠেছে চ্যালেঞ্জিং।

  • ৪. জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ
  • কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং পরিবেশ সুরক্ষার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন দেশগুলোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। একইসাথে, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়নের নীতি গ্রহণ করাটাকেও তারা বিবেচনায় রাখছে।

  • ৫. ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা
  • ইউক্রেন যুদ্ধ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংঘাত নর্ডিক দেশগুলোর নিরাপত্তা নীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলছে।



আগামী কয়েক দশকে সেই শান্ত নিরিবিলি নর্ডিক দেশগুলোর নৈস্বর্গিক রূপ ঠিক এইকি রকম থাকবে কি না, এটা এখুনি নিশ্চিত করে বলা খুব মুশকিল। কল্যাণ রাষ্ট্রের ধারনাও সে কতটা পারবে আঁকড়ে থাকতে, সেটা নিয়েও কথা হচ্ছে প্রচুর।

পড়ে দেখতে পারেন